ভিটামিন-সি এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে আমলকিকে অমৃত ফল বলা হয় যা অকালবার্ধক্য প্রতিহত করতে পারে।
খোশখবর ডেস্কঃ আমলকি আমাদের অত্যন্ত সুপরিচিত ফল। নানাবিধ দুরারোগ্য ব্যাধির হাত থেকে শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে আমলকি অতন্ত্র প্রহরীর মতো কাজ করে। শরীরকে সুস্থ রাখার বহু উপাদান থাকায় মানুষের জীবনে আমলকিকে অমৃতের সমান বলে মনে করা হয়। সেই প্রাচীন কাল থেকেই এই ফলের গুনাগুন জানে মানুষ। কাঁচা ও শুকানোর পাশাপাশি এই ফল নানাভাবে খাওয়া যেতে পারে। কেউ করে নানাভাবে সংরক্ষিত করেও খেয়ে থাকেন। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার কাঁচা খেলে। এতে আমলকির মধ্যে থাকা ভিটামিন-সি পাওয়া যায়।এপ্রিল-মে মাসে ফুল এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ফল হয়। আমলকির ছাল, মূল ও ফল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়। ভারত, বাংলাদেশ বা ভিয়েতনাম আমলকির আদি বাসস্থান।
আমলকির হাজারো উপকার
পাকা আমলকির বীজ গুঁড়ো করে, অল্প মিছরিসহ বারবার খেলে শ্বেতপ্রদাহে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
আমলকির কাঁচা ফল প্রতিদিন একটি করে খেলে মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
চোখ উঠলে কাঁচা আমলকি পিষে রস ছেঁকে মাঝে মাঝে দু ফোঁটা করে চোখে দিলে জ্বালা যন্ত্রণা কমে যায়।
চুল উঠে গেলে, চুলের গোড়া শক্ত করতে বা অকালে চুল পাকলে আমলকি পিষে তার রস মাথায় মাখলে উপকার পাওয়া যায়।
ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় আমলকির জবাব নেই।রক্তকে পরিশোধিত করার ক্ষমতা রাখে।কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খেলে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ থাকে।
আমলকি কোষ্ঠকে পরিষ্কার রাখে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের সমস্ত অঙ্গের মধ্যে সমতা রক্ষা করে। শরীরকে সুস্থ, সবল করে তোলে।
মূত্রপথে ক্ষত সৃষ্টি হলে আমলকির রস,গরুর দুধ ও মিছরি দিয়ে শরবত তৈরি করে প্রতিদিন সকাল বেলা বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
মাথা ধরলে আমলকি, গোলাপ জল, শ্বেতচন্দনসহ ভালভাবে পিষে মাথায় লেপে দিলে ব্যথা ভাল হয়।
আরও পড়ুনঃ অ্যালোভেরার উপকার জানলে আপনি চমকে যাবেন
কাঁচা আমলকী কী ভাবে খাবেন
হেমন্ত থেকে বসন্ত এই সময়কালেই বাজারে কাঁচা আমলকি পাওয়া যায়। কাঁচা আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে। তাই শরীরের পক্ষে খুব উপকারী। কিন্তু কাঁচা আমলকি কষা ও টক টক হওয়ায় অনেকেই এতে নুন মিশিয়ে খান। তবে কাঁচা আমলকি কুচো করে কেটে রাতে এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে সেই জলটা খেলে বহু উপকার পাওয়া যায়।একটি আমলকি ভালোভাবে ধুয়ে টুকরো করে কেটে নিন। একটা বড় কাচের গ্লাসে রাখুন,২৫০ এমএল জল দিন,সারা রাত ভেজান। পরদিন সকালে অর্ধেকটা জল খালি পেটে খেয়ে নিন। পরে আমলকির টুকরো ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান।
কাঁচা আমলকী কী ভাবে খাবেন
হেমন্ত থেকে বসন্ত এই সময়কালেই বাজারে কাঁচা আমলকি পাওয়া যায়। কাঁচা আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে। তাই শরীরের পক্ষে খুব উপকারী। কিন্তু কাঁচা আমলকি কষা ও টক টক হওয়ায় অনেকেই এতে নুন মিশিয়ে খান। তবে কাঁচা আমলকি কুচো করে কেটে রাতে এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে সেই জলটা খেলে বহু উপকার পাওয়া যায়।একটি আমলকি ভালোভাবে ধুয়ে টুকরো করে কেটে নিন। একটা বড় কাচের গ্লাসে রাখুন,২৫০ এমএল জল দিন,সারা রাত ভেজান। পরদিন সকালে অর্ধেকটা জল খালি পেটে খেয়ে নিন। পরে আমলকির টুকরো ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান।
আমলকি কেন অমৃত ফল?
কাঁচা বা শুকনো যেভাবেই খাওয়া যাক না কেন সবক্ষেত্রেই উপকার আছে আমলকির।এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন-সি এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে আমলকিকে অমৃত ফল বলা হয় যা অকালবার্ধক্য প্রতিহত করতে পারে। ভিটামিন-সি ছাড়া আমলকীতে সবচেয়ে শক্তিশালী পদার্থ ‘সায়াভানাপ্রা' থাকায় এটি ফুসফুস ও প্রজননতন্ত্রকে শক্তিশালী এবং কর্মক্ষম করে তোলে।এই ফল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমায়।
আরও পড়ুনঃ ছোটদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই খাবারগুলো
জেনে নিন আমলকির আরও গুণ
এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এইচডিএল কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি ঘটায়।
আমলকীতে আছে ভিটামিন-সি যা রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে।
শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। শিরা ও ধমনীতে জমে থাকা চর্বির আস্তরণ সরাতে সাহায্য করে আমলকি।
জেনে নিন আমলকির আরও গুণ
এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এইচডিএল কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি ঘটায়।
আমলকীতে আছে ভিটামিন-সি যা রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে।
শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। শিরা ও ধমনীতে জমে থাকা চর্বির আস্তরণ সরাতে সাহায্য করে আমলকি।
ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায়। ব্লাড সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি নিয়ন্ত্রণ করে। সুগারের রোগীর চোখ ভালো রাখে।
হার্টের গতিকে স্বাভাবিক করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
মস্তিষ্ক সুস্থ রেখে বুদ্ধি-স্মৃতি-মেধায় সমতা আনে।
অম্ল, অজীর্ণ, অরুচি, হিক্কা, দাহ, বমি,জ্বর প্রভৃতি নাশ করে।অপুষ্টি ও রক্তহীনতা দূর করে। পেট ভালো রাখে।
কফ-কাশি-হাঁপানি এবং কাজ রোগসমূহকে প্রশমিত করতে পারে।
[ছবি সৌজন্যঃখোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান,অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ