সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলাদের তালিকা বানাতে চারটে প্রধান মানদণ্ড বিচার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে অর্থ উপার্জন, মিডিয়া কভারেজ, প্রভাব এবং প্রভাবের ক্ষেত্র
খোশখবর ডেস্কঃ বিখ্যাত আমেরিকান বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস প্রতি বছর বিশ্বের ১০০ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলাদের একটি তালিকা প্রকাশ করে।সেই ২০০৪ সাল থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে এই তালিকা। প্রাক্তন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ২০০৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন, ২০১০ সালে এই তালিকার প্রথমে আসেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা।
কিন্তু কিভাবে তৈরি হয়েছে এই তালিকা। সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলাদের তালিকা বানাতে চারটে প্রধান মানদণ্ড বিচার করা হয়।এর মধ্যে রয়েছে অর্থ উপার্জন, মিডিয়া কভারেজ, প্রভাব এবং প্রভাবের ক্ষেত্র। তবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য জিডিপি এবং জনসংখ্যা ইত্যাদি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। কর্পোরেট ক্ষেত্রে রাজস্ব এবং কর্মচারী সংখ্যার পাশাপাশি মিডিয়া কভারেজ এবং প্রভাব বিবেচনা করা হয়।
এবারের ২০২২-এর তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন, যিনি বর্তমানে ২৭টি ইইউ সদস্য রাষ্ট্র এবং তাদের ৪৫০ মিলিয়ন সদস্যের প্রধান প্রতিনিধি। ফোর্বস জানিয়েছে প্রায় তিন বছর আগে ইইউ-এর গভর্নিং বডির প্রধান হওয়া প্রথম মহিলার নেতৃত্ব করোনা মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল।রাশিয়ান আগ্রাসনের সময় ইউক্রেনের পাশে থেকে অভূতপূর্ব সমর্থন দেওয়াকেও কুর্নিশ করেছে ফোর্বস।যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পরে, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি বড় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিলেন।যেমন রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন নিষিদ্ধ করা, রাশিয়ান বিমান ভ্রমণের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করা এবং ক্রেমলিনের মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থাগুলিকে বাধা দেওয়া। এই পত্রিকা জানিয়েছে ভন ডের লেয়েন হলেন ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তের একটি মুখ- তাঁর প্রভাব অনন্য।
ফোর্বসের বিচারে ১০০তম স্থানে রয়েছেন ইরানের মাহসা আমিনি। মরণোত্তর তালিকায় তিনিই প্রথম।ইরানে অধিকারের জন্য লড়াই করা কয়েক হাজার নারীর প্রতিনিধি হিসেবে তাকে এই মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশের সাকেজ শহরে কুর্দি বংশোদ্ভূত মাহসা আমিনিকে সঠিক নিয়মে হিজাব না পরায় গ্রেপ্তার করে ইরানের নীতি পুলিশ। গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতেই মারা যান তিনি।এর জেরে ইরান জুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়।
২০২২ সালের তালিকায় ছয় ভারতীয় মহিলার নাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বায়োকনের নির্বাহী চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার-শ, নাইকা প্রতিষ্ঠাতা ফাল্গুনী নায়ার, এইচসিএলটেকের চেয়ারপার্সন রোশনি নাদার মালহোত্রা, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)-এর চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচ এবং স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান সোমা মণ্ডল।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে,আনস্প্ল্যাস,ফ্রিপিক,উইকিমিডিয়া কমন্স,গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান,অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ