একনজরে

10/recent/ticker-posts

জন্মদিনে ডুডলের মাধ্যমে 'দ্য সান কুইন'কে সম্মান জানাল গুগল

মারিয়া টেকস,সারা জীবন সূর্য সংক্রান্ত নানা গবেষণাতেই জীবন উৎসর্গ করেছেন


খোশখবর ডেস্কঃ সূর্য মানুষের জীবনকে বদলে দিতে পারে,এমনটাই বিশ্বাস করতেন ডাঃ মারিয়া টেকস। সারা জীবন সূর্য সংক্রান্ত নানা গবেষণাতেই জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি। তাই তাঁকে বলা হয় 'দ্য সান কুইন'। ১৯০০ সালে ১২ই ডিসেম্বর হাঙ্গেরিয়ান শহর বুদাপেস্টে জন্ম মারিয়া টেকসের। জন্মদিনে ডুডলের মাধ্যমে 'দ্য সান কুইন'কে সম্মান জানাল গুগল।
ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনোয় মেধাবী ছিলেন মারিয়া। ১৯২০ সালে টেকস বুদাপেস্টের ইটোভস লর্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে ফিজিক্স-কেমিস্ট্রির পাঠ শেষ করে স্নাতক হন। ১৯২৪ সালে তার পিএইচডি শেষ করেন এবং পরের বছর উচ্চ শিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। তার স্বপ্ন তখন ইঞ্জিনিয়ারিং। ১৯৩৭ সালে হয়ে যান মার্কিন নাগরিক।যুক্ত হন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে। আসেন যেখানে তিনি সৌর শক্তির ব্যবহারিক ব্যবহারের উপর গবেষণা শুরু করেন। এমআইটিতে থাকাকালীনই টেকস সোডিয়াম সালফেট ব্যবহার করে সূর্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করার একটি পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন। ১৯৩৯ সালেই তিনি প্রথম সৌর শক্তি নিয়ে গবেষণার জগতে ঢুকে পড়েন।


মর্যাদাপূর্ণ ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-এর সৌর শক্তি কমিটির অন্যতম ছিলেন তিনি। তার কাজ দেখে তৎকালীন মার্কিন সরকার তাঁকে একটি সোলার ডিস্টিলার তৈরি করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল যা সমুদ্রের জলকে মিষ্টি জলে রূপান্তরিত করে। এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটি তখন প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধে সৈন্যরা ব্যবহার করেছিল। যুদ্ধের পরে, তিনি এমআইটিতে একজন সহযোগী গবেষণা অধ্যাপক হিসাবে যুক্ত হন। ১৯৪৮ সালে ইঞ্জিনিয়ার এলেনর রেমন্ডের সঙ্গে যৌথভাবে ডোভার সান হাউস তৈরি করেন। এই প্রকল্পের ব্যাপক সাফল্য গোটা পৃথিবীতে ‘সৌর শক্তি’ ব্যবহারকে জনপ্রিয় করে তোলে। এই নিয়ে তিনি ২০ টিরও বেশি পেটেন্ট নিয়ে ফেলেন। এসব ক্ষেত্রে দারুণ সাফল্যের জন্য ১৯৫২ সালের ১১ডিসেম্বর তিনিই পান প্রথম 'সোসাইটি অফ উইমেন ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড'। ফোর্ড ফাউন্ডেশন-এর হাত ধরে এসেছিল তারই ডিজাইন করা সোলার ওভেন – যা একটা বিপ্লবের জন্ম দিয়েছিল। এজন্য তাকে ‘সান কুইন’ হিসেবে স্মরণ করা হয়।

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে  পিক্সাবে,আনস্প্ল্যাস,ফ্রিপিক,উইকিমিডিয়া কমন্স,গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]  

[জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বইলাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান,অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে  জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর]   

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code