একনজরে

10/recent/ticker-posts

Blackpink টাইম ম্যাগাজিনের এন্টারটেইনার অব দ্য ইয়ার ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’ আসলে কারা?

 

এই মুহূর্তে গোটা দুনিয়ার পপ সঙ্গীত জগতে সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর মধ্যে ব্ল্যাকপিঙ্ক অন্যতম 

খোশখবর ডেস্কঃ গ্লোবাল পপ সেনসেশন ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’কে টাইম ম্যাগাজিনের ২০২২ সালের এন্টারটেইনার অফ দ্য ইয়ার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। আসলে এই মুহূর্তে গোটা দুনিয়ার পপ সঙ্গীত জগতে সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর মধ্যে ব্ল্যাকপিঙ্ক অন্যতম। ২০২০ আর এক কোরিয়ান পপ ব্যান্ড বিটিএসকে এই শিরোপা দিয়েছিল টাইম ম্যাগাজিন। তবে মাত্র ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’। এই বছর ‘স্কয়ার ওয়ান’ দিয়ে অ্যালবামের জগতে আত্মপ্রকাশ। তাদের ‘আইসক্রিম’ ও ‘দ্য অ্যালবাম’ বিলবোর্ডের টপচার্টে ওঠে। ২০১৯ সালে ইউটউবে ‘কিল দিস লাভ’ গান মুক্তির ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশিবার ভিউয়ের রেকর্ড করেছিল।

ইতিহাসে তারাই প্রথম মহিলা ব্যান্ড, যারা এই স্বীকৃতি পেল।এই সম্মান পাওয়ার পর খুবই খুশি মেয়েদের এই গানের দল। এই ব্যান্ডের অন্যতম র‍্যাপার জেনি টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যা বলেছেন তার সারবত্তা হল - অনেকের কাছে আমাদের কাজ সুপার ওমেনের মতো মনে হয় কিন্তু দিনের শেষে আমরা খুব সাধারণ মেয়ে।



ব্ল্যাকপিঙ্ক যখন আত্মপ্রকাশ করেছিল,তখন তাদের বার্তায় ওয়াই জি এন্টারটেইনমেন্ট বলেছিল যে নামটি শুধু সৌন্দর্য নয়,একটা কঠোরতারও বার্তা দেয়।বলা হয়, ব্ল্যাকপিঙ্ক নাম দিয়ে গোলাপী রঙের সাধারণ ধারণার বিরোধিতা করা হয়েছে।‘গোলাপী’ দিয়ে সাধারণত আমরা সুন্দরীকে চিত্রিত করি। কিন্তু ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’ বলতে আসলে বোঝায় যে সুন্দরই সবকিছু নয়।‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’ এমন একটি দল যা কেবল সৌন্দর্যই নয়, দুর্দান্ত প্রতিভাকেও তুলে ধরে।

কারা এই ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’

প্রায় পথ চলতে শুরু করেই বিশ্বজয় করে নিল ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’।দক্ষিণ কোরিয়ার এই ব্যান্ডের অভিষেক হয় ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট। ব্ল্যাকপিঙ্ক হল ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্টের চার সদস্যের গার্ল গ্রুপ। চারজনের গানের দলের সদস্যরা হল জিসু, জেনি, রোজ আর লিসা। এই ব্যান্ড দলের প্রায় সকলেই ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি থেকে এসেছেন। যেমন রোজের জন্ম নিউজিল্যান্ডে আর বেড়ে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। জেনি দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন কিন্তু নিউজিল্যান্ডে বড় হয়েছেন।আবার ড্যান্সার লিসা থাইল্যান্ডের মেয়ে। গায়ক জিসু গ্রুপের একমাত্র যার জন্ম ও বেড়েওঠা দক্ষিণ কোরিয়ায়।



কীভাবে উঠে এল ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’


টাইম ‘এন্টারটেইনার অব দ্য ইয়ার’ হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’ ব্যান্ডের সদস্যরা জানিয়েছে আমরা যখন গান তৈরি করি, তখন আমরা সবচেয়ে ভালো থাকি। আর গান করতে করতে ধারাবাহিকভাবে এই ভালো থাকাই সব সময়ের জন্য আনন্দ মুহূর্ত নিয়ে আসে। আর এটাই গানপাগল ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’- এর ইউএসপি। সেলেনা গোমেজের সঙ্গে ‘আইসক্রিম’ শিরোনামের গান নিয়ে প্রথম আলোচনায় এসেছিল ব্ল্যাকপিঙ্ক। ‘আইসক্রিম’, ‘হাউ ইউ লাইক দ্যাট’ গানগুলো দেখা হয়েছে কয়েক কোটি বার । ইনস্টাগ্রামে এই ব্যান্ডের ভক্ত ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে কবেই। ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’ জানিয়েছে আমরা বিশ্বাস করি, ভক্তরাই আমাদের শক্তি। তারাই আমাদের ভালোবাসা আর সহযোগিতা দিয়ে পাশে থাকছেন। আর সম্ভবত এই ভালবাসার জন্যই ২০২০ সালে ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’-এর প্রথম এলপি ‘দ্য অ্যালবাম’ মুক্তির পর এক মাসের কম সময়ে ১০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়ে যায় ।

আরও পড়ুন - কিভাবে এল ‘আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস’

দুনিয়া মাতানো ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’ -এর চার কন্যা   



জিসু

জন্মের নাম: কিম জি সু
ব্যান্ডের প্রধান কণ্ঠশিল্পী
জন্ম: ৩ জানুয়ারি, ১৯৯৫
জন্মস্থান: সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া
জিসুর বড় ভাই এবং একটি বড় বোন রয়েছে। কোরিয়ান, চিনা এবং জাপানি ভাষায় কথা বলতে পারেন। ড্রাম এবং পিয়ানো বাজাতে পারেন। তাঁর পছন্দের রঙ বেগুনি।



জেনি

জন্মের নাম: জেনি কিম
ব্যান্ডের প্রধান র‍্যাপার, প্রধান কণ্ঠশিল্পী, গ্রুপের মুখ
জন্ম: ১৬ জানুয়ারি,১৯৯৬
জন্মস্থান: আনিয়াং, দক্ষিণ কোরিয়া
পড়াশোনা এসিজি পার্নেল কলেজে নিউজিল্যান্ডে
জেনি গ্রুপে "দ্য ওয়াইজি প্রিন্সেস" নামে পরিচিত। কোরিয়ান, জাপানিজ এবং ইংরেজিতে সাবলীল। পিয়ানো এবং বাঁশি বাজাতে পারেন।



রোজ

জন্মের নাম: পার্ক চে ইয়ং।
ব্যান্ডের প্রধান কণ্ঠশিল্পী, প্রধান ড্যান্সার
জন্ম: ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭
জন্মস্থান: কোরিয়ান, কিন্তু তিনি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে জন্ম এবং মেলবোর্ন, বক্স হিল অস্ট্রেলিয়ায় এ বেড়ে ওঠা। তার একটি বড় বোন আছে, যার নাম এলিস।তিনি কোরিয়ান, ইংরেজি, জাপানি বলতে পারেন। তাঁর গানের গলা অনন্য। তিনি পিয়ানো এবং গিটার বাজাতে পারেন। রোজা বাঁহাতি,আর কোনও কাজ না থাকলে ঘুমিয়ে পড়েন।



লিসা

জন্ম নাম: লালিসা মনোবন/প্রাণপ্রিয়া মনোবন
ব্যান্ডের প্রধান ড্যান্সার, প্রধান র‍্যাপার,কণ্ঠশিল্পী
জন্ম: ২৭ মার্চ, ১৯৯৭
জন্মস্থান: ব্যাংকক, থাইল্যান্ড। 
লিসা কোরিয়ান, ইংরেজি, জাপানি, থাই বলতে পারেন। লিসাকে তার জন্মস্থানে ‘থাইল্যান্ডের রাজকুমারী’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে  পিক্সাবে,আনস্প্ল্যাস,ফ্রিপিক,উইকিমিডিয়া কমন্স,গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]  

[জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বইলাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান,অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে  জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code