একনজরে

10/recent/ticker-posts

দিনের শেষে সময় মত ঘুমের দেশে যাচ্ছেন তো!

আপনার ভাল ঘুম হচ্ছে তো? জেনে নিন ঘুম কতটা জরুরি! 

খোশখবর ডেস্কঃ চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ঘুম না হলে একজন মানুষ ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। বিশ্ব জুড়ে করোনা মহামারি পরবর্তী সময়েও ৪৫-৫০ ভাগ মানুষের ঘুম নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।তৈরি হচ্ছে বিষন্নতাসহ নানা সমস্যা। যার কারণে একটি সুন্দর জীবনও বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখন ঘুমের মহামারি চলছে। এর কারণ হিসেবে করোনা পরবর্তী সময়ে চাকরি হারানো, বাচ্চাদের মোবাইল বা ডিভাইস ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া, পারিবারিক হিংসা ও কাজের ক্ষেত্রে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদিকে দায়ী করা হচ্ছে।বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জেনেছেন যে কম ঘুম আপনার আয়ুও কমিয়ে দেয়।যাতে আসলে হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক, বা ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।


যদি রাতে ভাল ঘুম না হয় তাহলে দেখবে সবসময় ক্লান্ত লাগছে, দিনের বেলা চোখ ঘুমে জড়িয়ে যাচ্ছে, মনঃসংযোগ করতে অসুবিধা হচ্ছে, সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হচ্ছে, মন খারাপ লাগছে।আমাদের গোটা দিনে অত্যাবশ্যকীয় কিছু কাজের প্রয়োজন হয়, তার মধ্যে যেমন খাওয়া দাওয়া আছে তেমনই আছে খেলাধুলাও। কিন্তু আমাদের এই কর্মরত জীবনে সব চাইতে বেশি প্রয়োজনীয় যে জিনিসটার দরকার পরে তা হল একটা বিরতি।


আমাদের শরীর এবং মন সুস্থ রাখতে ঘুমের প্রয়োজন। বেশিদিন ঠিকমত ঘুম না হলে আমরা তার ফল বুঝতে পারি। সারা সপ্তাহের পর যেমন কাজ থেকে এক দিনের বিরতির প্রয়োজন হয় তেমনই সারা দিনের কাজের পর শরীরেরও কিছু সময়ের জন্য বিরতির প্রয়োজন হয়। আর শরীর নামক যন্ত্রে বিরতি প্রদান করে ঘুম।


সাধারণত ঘুমকে জীবনের একটি স্বাভাবিক অঙ্গ বলেই আমরা মনে করি। শরীরে খাবার খাওয়া যতটা প্রয়োজনীয় ততটাই প্রয়োজনীয় হল এই ঘুম। তবে সবার শরীরে ঘুমের প্রয়োজন সমান হয় না।এই ঘুম বা বিরতি পুরো ঘটনাই নির্ভর করে মানুষের সারা দিনের পরিশ্রমের ওপর। বিশেষজ্ঞদের মতে ঘুম কেবল শরীরকে বিরতি দেওয়ারই কাজ করে না উপরন্তু পরবর্তী কালে পরিশ্রম করার ক্ষমতাও প্রদান করে ।


বিশেষজ্ঞদের মতে সারা দিনে পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য শারীরিক বেশ কয়েকটি দিকে নজর রাখা প্রয়োজন।প্রথমত, ঘুমের একটি উপযুক্ত চক্রের মধ্যে শরীরকে রাখতে হবে। ঘুমের এই চক্রটি প্রতিদিন একই থাকা প্রয়োজন ।

দ্বিতীয়ত, সুস্থভাবে ঘুমের জন্য খুব বেশি উজ্জ্বল স্থান থেকে দূরে থাকাই ভালো। সাধারনত মেলাটোনিন নামক হরমোন হালকা এক্সপোজার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যা শরীরের ঘুম চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।


তৃতীয়ত, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে রাতে ভাল ঘুম হয় এবং দিনের বেলায় শরীর দুর্বল লাগে না। সারা দিন কর্মরত থাকলে অনিদ্রা এবং স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণগুলিও কম অনুভব করা যায় এবং গভীর ঘুমের সময়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

চতুর্থত, শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন তার একটি বড়ো অংশ হল খাওয়া দাওয়া। অভিজ্ঞদের মতে ঘুমতে যাওয়ার আগের ২ ঘন্টা কোনো ধরনের খাওয়ার খাওয়া উচিত নয়।বিশেষত নিকোটিন বা ক্যাফিন জাতীয় বস্তু গ্রহন করলে রাতের ঘুমে খুব বেশি পরিমানে ব্যাঘাত ঘটে।
বিভিন্ন শরীরে পর্যাপ্ত ঘুম বিভিন্ন হয় । তাই সর্ব প্রথম নিজের জানার দরকার নিজের শরীরে কতটা ঘুমের প্রয়োজন । এবং কতটা ঘুম ঘুমোলে তিনি পরের দিনে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষমতা অর্জন করবেন । কম ঘুম যেমন একটি মানুষকে সারা দিনের কাজ করার থেকে বিরত করে রাখে তামন ই বেশি ঘুম ও সারাদিন মানুষকে দুর্বল করে রাখতে পারে ।

ছবি সৌজন্যঃ পিক্সাবে,আনস্প্ল্যাস,ফ্রিপিক 

[জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান,অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে  জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]    

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code