ছাত্রজীবনে অতি মেধাবী ছিলেন।শোনা যায় জীবনে তিনি নাকি কোনও পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি। ছাত্রজীবনে বিভিন্ন বৃত্তি পেয়েছিলেন। তিনি অতি জনপ্রিয় দার্শনিক অধ্যাপক হিসাবে পরিচিত ছিলেন।তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন। দেশ–বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বারবার আমন্ত্রিত হয়েছেন। ১৯৩১ সালে তাঁকে ব্রিটিশ নাইটহুডে সম্মানিত করা হয়। ডঃ রাধাকৃষ্ণণের লেখা প্রথম গ্রন্থের নাম ‘দ্য ফিলোজফি অব রবীন্দ্রনাথ টেগোর’। ১৯৫৪ সালে তিনি ভারতরত্ন উপাধি পান।
ডঃ রাধাকৃষ্ণণের ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তাঁর গুণমুগ্ধরা তাঁর জন্মদিন পালন করতে চাইলে তিনি বলেন জন্মদিনের পরিবর্তে ৫ই সেপ্টেম্বর যদি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয় তবে আমি খুশি হব। তারপরই ১৯৬২ সাল থেকে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিনটি ভারতে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। সুখ নিয়ে অসাধারণ কথা বলেছেন তিনি। রাধাকৃষ্ণাণের বক্তব্য , জীবনে সুখ আর খুশি পেতে হলে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের রাস্তায় হাঁটা উচিত। আদর্শ শিক্ষক ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ প্রয়াত হন ১৯৭৫ সালের ১৭ই এপ্রিল।
0 মন্তব্যসমূহ