এই ভাবে প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম রবিবারই পালিত হত ফ্রেন্ডশিপ ডে। জানা যায় যে ১৯৩৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। সদিন ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। এর প্রতিবাদে পরের দিনই ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করে যা মার্কিন সমাজে ব্যপক প্রভাব ফেলেছিল। এর পরই আমেরিকান কংগ্রেস আগস্টের প্রথম রবিবারকে বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু এই দিবস আন্তর্জাতিক হয়ে উঠল কীভাবে? এর পেছনে ডাক্তার আর্টেমিও ব্র্যাচোর অবদান আছে। এই ডাক্তারকে বন্ধুত্বের জন্য এক যোদ্ধা হিসেবে মানা হয়। ১৯৫৮ সালে আন্তর্জাতিক নাগরিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেড বিশ্বে শান্তির উদ্দেশ্যে প্যারাগুয়েতে ৩০ জুলাইকে বিশ্ব বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেয়। ১৯৫৮ সালের ২০ জুলাই ডঃ আর্টেমিও ব্র্যাচো বিশেষ দিনটিকে বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
তবে প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা বাস্তবে রুপায়িত হতে প্রায় পাঁচ যুগ সময় লাগল। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময়ে এই বন্ধুত্বের দিন পালন করত। ২০১১-র ২৭ এপ্রিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে ৩০ জুলাই দিনটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস বা ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ ডে হিসেবে ঘোষিত করা হয়। খুব শীঘ্রই তা ব্যপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস-এ পরিনত হয়। তবে ভারত,বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে অগস্টের প্রথম রবিবারই এই দিবস পালন করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ