খোশখবর ডেস্কঃ আপনি কী জানেন ২১ এপ্রিল সন্ধ্যে থেকে আপনি সাক্ষী হতে পারেন এক আশ্চর্য মহাজাগতিক ঘটনার। মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকে ২৩ এপ্রিল ভোর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে দেখা যাবে উল্কাপাত। তবে একটা বা দুটো নয়, অনেক উল্কা বা উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে বলেই জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কিন্তু উল্কা আসলে কী জানেন? অনেকে একে তারা খসা বলে জানে। কিন্ত এক একটি তারা আকারে আয়তনে এত বড় হয় যে তাদের পৃথিবীর উপর খসে পড়া সম্ভব নয়। গোটা পৃথিবীটারই তারার ভেতর ঢুকে যাওয়ার কথা। বিজ্ঞানীদের মতে, মহাকাশে নানা ধরণের ছোটো ছোটো বস্তু যখন পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে, তখন প্রবল আকর্ষণে পৃথিবীর বুকে ঢুকে পড়ে চলে আসে। বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা অধিকাংশ উল্কাপিণ্ডের উৎসই হল ধূমকেতু। পৃথিবী তার কক্ষপথে চলার সময়, বিভিন্ন ধূমকেতুর কক্ষপথের ভিতরে ঢুকে পড়ে। তখন ওই সব ধূমকেতুর টুকরো টুকরো পাথুরে অংশ পৃথিবীর তীব্র মাধ্যাকর্ষণের টানে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। আর এই বস্তুগুলো যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে প্রবল সংঘর্ষে সেগুলো উত্তপ্ত হয়ে উঠে এবং একসময় তাতে আগুন ধরে যায়। রাতের আকাশে মাটির দিকে ছুটে আসা ওই জ্বলন্ত বস্তুগুলোকেই উল্কা নামে আমরা জানি।
পৃথিবীতে উল্কাপাত যে কোনো সময়ই হতে পারে। তবে উল্কাপাতেরও কিছু নির্দিষ্ট সময় আছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে উল্কাবৃষ্টি যে নক্ষত্রমণ্ডল বরাবর হয়, তার নামেই উল্কাপাতের নামকরণ করা হয়। যেমন এই এপ্রিলে ১৬ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে যে উল্কাপাত হচ্ছে তা লাইরা নক্ষত্রমণ্ডলের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র আলফা লাইরাই ( অভিজিৎ) বরাবর দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের হিসেব বলছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৫ কিমি থেকে ১১৫ কিমি এর মধ্যে যে সব উল্কা জ্বলতে জ্বলতে নিচে নেমে আসে, সেই উল্কাগুলোই আমরা দেখতে পাই। বেশীরভাগ উল্কাই আকাশেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা একটা হিসেব কষে দেখেছেন যে প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ মেট্রিক টন উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে।
না ব্রেকিং, না মেকিং, না ফেকিং। বিচিত্র এই পৃথিবীর বিপুল জ্ঞান সমুদ্র থেকে কণা সম তুলে পরিবেশনের চেষ্টাই এই ব্লগ সাইট। সচেতন ভাবে কোনও উদ্দেশ্যমুলক ভুল তথ্য বা কুসংস্কার প্রচার করবে না এই পেজ। প্রায় সব তথ্যেরই মিলবে উৎসের খোঁজ। আমরা বিশ্বাস করি জ্ঞানের কোনও কপিরাইট হয় না। তবুও তথ্যের ব্যবহার নিয়ে কোনও লেখক বা প্রকাশকের কোনও আপত্তি থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়ে নেওয়া হবে এই পেজ থেকে। সাইটে ছবিগুলির বেশিরভাগই নেওয়া হয়েছে উইকিপিডিয়া,ফ্রি সাইটস বা গুগল সার্চ থেকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'খোশখবর'