একনজরে

10/recent/ticker-posts

২ এপ্রিল ‘আন্তর্জাতিক শিশু বই দিবস’। কেন জানেন ?



খোশখবর ডেস্কঃ এক আশ্চর্য রূপকথার জগতে বাস করতেন তিনি। যেন পড়তে পারতেন ছোটদের মনের ভেতরের কথা। তিনি ডেনিস শিশু সাহিত্যিক ও কবি হান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসন। তাঁর লেখা ‘দ্য স্নো কুইন’, ‘দি আগলি ডাকলিং’ , ‘থাম্বেলিনা' তো আজও বিশ্বের সমস্ত শিশুদের মন জয় করে রেখেছে। রূপকথা লেখার জন্য তাকে রূপকথার জাদুকর নামে অভিহিত করা হয়। হান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসন ১৮০৫ সালের ২ এপ্রিল ডেনমার্কের ওডেন্সে জন্মগ্রহণ করেন।

এন্ডারসনের রূপকথা, যার সংখ্যা ৩৩৮১ এর বেশী। ১২৫ টিরও বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। তবে ছোটবেলায় মোটেই তাঁর স্কুল যেতে ভাল লাগত না। পরে তিনি একজায়গায় বলেন স্কুলের দিনগুলো ছিল তার জীবনের অন্ধকারতম এবং সবচেয়ে বিরক্তিকর । প্রথম প্রথম এন্ডারসন শৈশবে যেসব গল্প শুনেছেন সেই সব গল্পগুলোকেই নতুনরূপে লেখার চেষ্টা করতেন। পরে অবশ্য তিনি নানা রূপকথার গল্প লেখা শুরু করেন। ‘দি এমপেরর্স নিউ ক্লদস', ‘দ্য লিটল মারমেইড', ‘দ্য নাইটিংগেল' –এর মত গল্প। তবে প্রথমদিকে তার মৌলিক রূপকথাগুলো তেমন স্বীকৃতি লাভ করে নি।



১৮৪৫ সালে এন্ডারসনের চারটি রপকথার অনুবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত হয় ‘ওয়ান্ডারফুল স্টোরিজ ফর চিলড্রেন'। বিপুল প্রশংসা লাভ করে বইটি। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিতেন এন্ডারসন। তিনি বলতেন সঠিকভাবে বেঁচে থাকতে গেলে মানুষের প্রয়োজন সূর্যের আলো, স্বাধীনতা ও ফুল । ১৮৭৫ সালের ৪ আগস্ট মৃত্যু হয় এই রূপকথার জাদুকরের।

প্রতি বছর হান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসনের জন্মদিন ২ এপ্রিলকে ‘ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন বুক ডে’ বা ‘আন্তর্জাতিক শিশু বই দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এটি পালন করে ১৯৬৭ সালে তৈরি হওয়া ‘ ইন্টারন্যাশনাল বোর্ড অন বুকস ফর ইয়ং পিউপিল’ নামক অলাভজনক একটি সংস্থা। শিশুদের মধ্যে গল্প, রূপকথা পড়ার অভ্যেস তৈরি করতেই তাঁদের হাতে বই তুলে দেওয়ার আহ্বান জানায় এই সংস্থা।

Ad Code