খোশখবর ডেস্কঃ ফি বছর ১লা এপ্রিল দিনটা পালিত হয় ‘এপ্রিল ফুল’ দিবস হিসেবে। বছরের একটা দিনে একে অন্যকে বোকা বানিয়ে আনন্দ পান অনেকেই। প্রায় গোটা পৃথিবীতেই চালু আছে এই রেওয়াজ। কেউ ঠকে গেলে বলা হয় এপ্রিল’স ফুল বা এপ্রিলের বোকা। তবে কীভাবে এই দিনটি চালু হল তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত চালু আছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন এপ্রিল ফুল ডে শুরু হয়েছিল ফ্রান্সে। বলা হয় ১৫৬৪ সালে ফ্রান্সে নতুন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করাকে কেন্দ্র করে এপ্রিল ফুল ডে'র সুচনা । জানা যায় যে ওই ক্যালেন্ডারে ১লা এপ্রিলের পরিবর্তে ১লা জানুয়ারিকে নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু নতুন এই পরিবর্তন অনেকেই মানতে পারলেন না। তারা এই সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন যে, ২৫ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত তারা আগের মতোই নববর্ষ পালন করবে। এরপর পুরনো ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী ১লা এপ্রিলকেই নববর্ষের ১ম দিন ধরে যারা দিন গণনা করে আসছিল, তাদেরকে প্রতি বছর ১লা এপ্রিলে বোকা উপাধি দেয়া হোত। জানা যায় ফ্রান্সে ১ লা এপ্রিল ‘পয়সন দ্য আভ্রিল’ পালিত হয়। এর সঙ্গে সম্পর্ক আছে মাছের। এপ্রিলের শুরুর দিকে ডিম ফুটে মাছের বাচ্চা বের হয়। এই শিশু মাছগুলোকে সহজে বোকা বানিয়ে ধরা যায়। এদিন বাচ্চারা অন্য বাচ্চাদের পিঠে কাগজের মাছ ঝুলিয়ে দেয় তাদের অজান্তে। তা দেখে অন্যরা তখন ‘পয়সন দ্য আভ্রিল’ বলে চিৎকার করে ওঠে। এপ্রিল ফুল দিবসকে অনেক দেশে ‘অল ফুলস ডে’ নামেও ডাকা হয়। এটি গ্রহণ করা হয়েছে মূলত এপ্রিলের প্রথম তারিখে হাস্য-কৌতুকের দিবস হিসেবে। সাধারণত হালকা বিষয় নিয়েই বোকা বানানোর গল্প তৈরি হলেও কখনও কখনও বেশ গুরুতর বিষয় নিয়েও পৃথিবী জুড়ে চলে বোকা বানানোর কৌশল। সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্তের যুগে সেই তথ্য ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তে।
না ব্রেকিং, না মেকিং, না ফেকিং। বিচিত্র এই পৃথিবীর বিপুল জ্ঞান সমুদ্র থেকে কণা সম তুলে পরিবেশনের চেষ্টাই এই ব্লগ সাইট। সচেতন ভাবে কোনও উদ্দেশ্যমুলক ভুল তথ্য বা কুসংস্কার প্রচার করবে না এই পেজ। প্রায় সব তথ্যেরই মিলবে উৎসের খোঁজ। আমরা বিশ্বাস করি জ্ঞানের কোনও কপিরাইট হয় না। তবুও তথ্যের ব্যবহার নিয়ে কোনও লেখক বা প্রকাশকের কোনও আপত্তি থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়ে নেওয়া হবে এই পেজ থেকে। সাইটে ছবিগুলির বেশিরভাগই নেওয়া হয়েছে উইকিপিডিয়া,ফ্রি সাইটস বা গুগল সার্চ থেকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'খোশখবর'