খোশখবর ডেস্কঃ চিনে নোভাল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর তা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। সংক্রমণকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও অতি মহামারি বা অতিমারি বা প্যানডেমিক বলে ঘোষণা করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল মহামারি বা এপিডেমিক কাকে বলে। এর সঙ্গে অতিমারির তফাতটা কোথায়?
মহামারী বা এপিডেমিক কথাটা এসেছে গ্রিক থেকে। গ্রিক ভাষায় ‘এপি’ মানে উপরে আর ‘ডেমোস’ মানে জনসাধারণ বা সাধারণ মানুষ। একটি হিসেবে বলা হয় সাধারণত দু সপ্তাহ বা তার কম সময়ের মধ্যে ১০০০০০ জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ জন বা তার বেশী লোকের মধ্যে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে তাকে এপিডেমিক বা মহামারি বলে। অর্থাৎ একটি সংক্রামক রোগে বহু লোকের মড়ককেই মহামারি বলে। ইবোলা বা সোয়াইন ফ্লুর মতো রোগগুলোকে বিশ্বের কয়েকটি অঞ্চলে মহামারী ঘোষণা করা হয়েছিলো। মহামারী ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার।
পাশাপাশি একই সময়ে যখন বিশ্বজুড়ে বহু দেশের মানুষের মধ্যে কোন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তখন তাকে বিশ্ব মহামারি বা প্যানডেমিক বলে বর্ণনা করা হয়। যেমন নোভেল করোনাভাইরাসের হানা।
যদিও রোগবিস্তারের পরিভাষায় কয়েকটি ধাপ ব্যবহার করা হয়। সেগুলি হল -
১। স্পোরাডিক বা কোনও এলাকায় বিক্ষিপ্ত রোগবিস্তার ও মৃত্যু
২। এনডেমিক বা আঞ্চলিক রোগ বিস্তারজনিত মৃত্যু
৩। এপিডেমিক বা মহামারি
৪। প্যানডেমিক বা অতি মহামারি
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'খোশখবর'