পবিত্র বাইবেলে যিশুর খ্রিষ্টের যে জন্মকাহিনীর বর্ণনা পাওয়া যায় সেখানে তাঁর জন্মদিন সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো উল্লেখ নেই। প্রাচীন খ্রিস্টান ধর্মানুসারীদের মতে, মেরি যেদিন তার মাতৃত্বের বিষয়টি জেনেছিলেন সেদিন ছিল ২৫ মার্চ। আর এদিন থেকে ঠিক নয় মাস পরের তারিখটি হল ২৫ ডিসেম্বর। এছাড়া খ্রিস্টান ধর্মানুসারীরা মনে করেন, ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেন এই ২৫ মার্চই। আবার এই দিনেই যিশুকে ক্রুশে দিয়ে হত্যা করা হয়। তবে কবে থেকে ২৫ ডিসেম্বর উৎসব পালন করা শুরু হল তা নিয়েও দ্বিমত কম নেই। বলা হয় যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও বহু আগে, সভ্যতার গোড়ার দিকে রোম সাম্রাজ্যের শাসনকালে ইউরোপে কৃষি দেবতা ও শনি গ্রহের সম্মানে এক বড় ‘উৎসব’ হতো এবং তা শীতকালের মাঝামাঝিতে ২৫ ডিসেম্বরের দিকে পালন হতো।
যদিও যিশুর অনুসারীরা এই উৎসবকে বিধর্মী উৎসব বলে প্রত্যাখ্যান করে। আবার অন্য ধারণা হল প্রথম বড়দিন পালিত হয় ৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ক্যাথলিক রোমান রাজা কনস্ট্যানটাইনের রাজত্বের সময়। পরে পোপ প্রথম জুলিয়াস ২৫ ডিসেম্বরকে বড়দিন হিসেবে উদযাপন করার ঘোষণা করেন। তবে পৃথিবী জুড়ে ২৫ ডিসেম্বরের বাইরে অন্য দিনও বড়দিন পালিত হয়। অনেক অর্থোডক্স চার্চ এখনও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের বদলে জুলিয়ান পঞ্জি অনুসারে ৭ জানুয়ারি বড়দিন পালন করে। নিউইয়র্কে আরমেনিয়ান অ্যাপস্টলিক চার্চে বড়দিন পালিত হয় ৬ জানুয়ারি। ডাকা হয় ‘ওল্ড ক্রিসমাস’ নামে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'খোশখবর'