খোশখবর ডেস্কঃ বড়দিন এলেই চলে আসে সান্টাক্লজের নাম। হাসি হাসি মুখ এবং সাদা-দাড়িবিশিষ্ট একজন বুড়ো। গায়ে তাঁর সাদা কলার ও কাফযুক্ত লাল কোট, সাদা কাফযুক্ত লাল ট্রাউজার্স, কালো চামড়ার বেল্ট ও বুটজুতো। কিন্তু কে এই সান্টা? সে থাকে কোথায়? আসলে সান্টাক্লজ নামটি এসেছে সেন্ট নিকোলাস থেকে। সেন্ট নিকোলাস ছিলেন খ্রিষ্টিয় চতুর্থ শতাব্দীর একজন বিশপ। অন্যান্য সন্তসুলভ অবদানের পাশাপাশি তিনি শিশুদের পরিচর্যা, দয়া ও উপহার দেওয়ার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তাঁর বাড়ি ছিল তুরস্কে।
শোনা যায় একবার এক খারাপ লোক তিনটি শিশুকে কেটে লবণ জলে চুবিয়ে রেখেছিল। নিকোলাস নাকি তাদের বাঁচিয়ে তুলেছিলেন। সেই থেকেই শিশুদের রক্ষাকর্তা হিসেবে তিনি বিখ্যাত। যদিও আমেরিকায় সেন্ট নিকোলাস বিখ্যাত হন আঠারোশ শতকের শেষে। বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও লুক্সেমবার্গে সেন্ট নিকোলাস কে বলা হয় সিন্টারক্লাস। ১৮০৯ সালে বিখ্যাত লেখক ওয়াসিংটন আরভিং সিন্টারক্লাস কে নিয়ে গল্প লেখেন। তারপর থেকেই সেন্ট নিকোলাস থেকে সান্টাক্লজ নামে আমেরিকান সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে শুরু করেন। প্রচলিত একটি গল্প অনুসারে, সান্টা সুদূর উত্তরে এক চিরতুষারাবৃত দেশে বাস করেন। আবার আমেরিকান উপাখ্যান অনুসারে, তাঁর নিবাস উত্তর মেরুতে। অন্যদিকে ফাদার খ্রিষ্টমাসের বাড়ি মনে করা হয় ফিনল্যান্ডে। সেখানে সান্টাক্লজ তাঁর স্ত্রী মিসেস ক্লজ, অসংখ্য জাদুক্ষমতা সম্পন্ন পরী এবং আট-নয়টি উড়ন্ত বলগা হরিণের সঙ্গে বাস করেন। বড়দিনের আগের দিন অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর রাতে সান্টা ভাল ছেলেমেয়েদের নানা উপহার দিয়ে যান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'খোশখবর'