বিজ্ঞানীদের গবেষণায় জানা গেছে যে গোটা পৃথিবীতে ৪৫ হাজার প্রজাতির মাকড়সা আছে । এদের মধ্যে ট্যারান্টুলা প্রজাতির মাকড়সাদের দেহ ঘন লোমে ঢাকা । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে ট্যারেন্টুলা দেখতে পাওয়া যায় । অস্ট্রেলিয়া ছাড়া উত্তর আমেরিকায়, ইউরোপের স্পেন,ইতালি,পোর্তুগাল,তুরস্কে ট্যারেন্টুলা দেখতে পাওয়া যায়। উত্তর আমেরিকায় নীল,হলুদ,কমলা,সবুজ সাদা দাগ যুক্ত ট্যারেন্টুলা পাওয়া যায় । ট্যারেন্টুলার রোমের ছোঁয়া শরীরে লাগলে দেহে বিষ ঢুকে যায়। এই মাকড়সা কামড়ালে বুক ধড়ফড় করে। আসলে ট্যারেন্টুলার বিষে অ্যামাইনো এসিড,পলিপেপটাইড এবং প্রোটিন থাকে। এতে মিশে থাকা অজৈব লবন,ল্যাকটিক অ্যাসিড,গ্লুকোজ ও পলিপেপটাইডের জন্যই এর বিষ এত মারাত্মক । সহজে মৃত্যু ঘটাতে না পারলেও ট্যারেন্টুলার বিষ দেহকোষ ও স্নায়ুকোষের ক্ষতি করে । এর বিষে হওয়া চামড়ার ক্ষত, চুলকানি, উচ্চ রক্তচাপ নিরাময় করা সহজ হলেও স্নায়ুকোষের ক্ষতি সুদূরপ্রসারী হতে পারে । তবে পাখি, ছোট পোকামাকড়,ইঁদুর ইত্যাদির ক্ষেত্রে ট্যারেন্টুলা ত্রাস হলেও মানুষের এই নিয়ে ভয় পাবার কোন কারন নেই । ট্যারেন্টুলা জাল বুনতে পারে না কিন্তু দ্রুত বংশবিস্তার করে । মূলত ঝোপঝাড়ে বাসা বাঁধে ট্যারেন্টুলা । এলাকা পরিষ্কার রাখাই ট্যারেন্টুলা মুক্তির প্রধান উপায় । যদিও এ রাজ্যে ট্যারেন্টুলার খোঁজ কয়েকটি মাত্র ঘটনাতেই সীমাবদ্ধ ।
তথ্যসংগ্রহ - জ্ঞান ও বিজ্ঞান(পত্রিকা), ১০ জুলাই ২০১৮
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'খোশখবর'