ভাস্কর্যটি তিন স্তরবিশিষ্ট কাঠামোয় বিন্যস্ত। ১২৭ মিটার দুটি উঁচু টাওয়ার আছে, যা ভাস্কর্যের বুক পর্যন্ত বিস্তৃত। দ্বিতীয় স্তরটি স্টিলের কাঠামো এবং তৃতীয় স্তর বা ভাস্কর্যের উপরিভাগ আট মিলিমিটার ব্রোঞ্জ দিয়ে ঢাকা। ভাস্কর্যের আপাদমস্তক দর্শনের জন্য দুটি লিফট আছে। প্রতি লিফট ২৬ জন বহন করতে পারে। লিফটে আধা মিনিটের মধ্যে ভাস্কর্যের শীর্ষ স্থানে পৌঁছানো সম্ভব। উচ্চতার দিক থেকে এর আগে সর্বোচ্চ স্ট্যাচুর রেকর্ড ছিল চীনের। স্প্রিং টেম্পল অব বুদ্ধ নামের স্ট্যাচুটির উচ্চতা ১৫৩ মিটার। বর্তমানে সেই অবস্থান নিল ভারতের স্ট্যাচু অব ইউনিটি। এরপর রয়েছে ১১৬ মিটার উঁচু মায়ানমারের ল্যানকিউইন সেটকায়ার। চতুর্থ স্থানে রয়েছে জাপানের ১২০ মিটার উঁচু উশিকু দায়বাসু, পঞ্চম যুক্তরাষ্ট্রের ৯৩ মিটার উঁচু স্ট্যাচু অব লিবার্টি এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে রাশিয়া ৮৫ মিটার উঁচু হোমল্যান্ড মাদার।
সরদার প্যাটেল ভাস্কর্যের নিচে ২৫ মিটার উঁচু বা আটতলার সমান ৪ হাজার ৭৪৭ স্কোয়ার মিটার আয়তনের প্রদর্শনী হল ও চলচ্চিত্র কেন্দ্র আছে। একে বড় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এই স্ট্যাচু ও এর আশপাশের পাহাড়ি বনাঞ্চল পর্যটকদের আকর্ষণ করবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। ভাস্কর্য দেখতে দুটি লিফটের মধ্যে একটি ১৩৫ মিটার উঁচুতে উঠবে। সঙ্গে আছে চিত্তাকর্ষক গ্যালারি। প্রতিদিন ভাস্কর্যটি পরিদর্শনে তিন হাজার দর্শনার্থীকে অনুমতি দেওয়া হবে।স্ট্যাচুর নীচে আছে ভ্রমণকারীদের জন্য হাঁটার পথ, ফুট কোর্ট, বড় বাজার ও অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা। স্ট্যাচুর অদূরে থ্রি স্টার হোটেল, ক্যাফেটেরিয়া ও গিফট শপ আছে।
তথ্য সংগ্রহঃ বিভিন্ন রেকর্ড বুক,এনসাইক্লোপিডিয়া ও উইকিপিডিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'খোশখবর'