খোশখবর ডেস্কঃ সোজা কথায় বললে মসলিন হল এক ধরণের সুক্ষ্ম সুতিবস্ত্র। যারা এই সুতো কাটেন তাদের কাটুনি বলে। ১০০ থেকে ৩০০ কাউন্ট পর্যন্ত সুতোয় তৈরি মসলিন হল সাধারণ। ৩০০ থেকে ৫০০ বা ৬০০ কাউন্ট সুতো কাটতে দক্ষ কাটুনির প্রয়োজন। এই সুতো থেকে সুদক্ষ শিল্পীর হাতে সুক্ষ্ম মসলিন তৈরি হয়। একসময় ভারতবর্ষই ছিল সুতিবস্ত্রের কেন্দ্র আর বাংলার মসলিনের খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া। বর্তমানে বাংলাদেশের ‘ঢাকা’ ছিল মসলিন উৎপাদনের শ্রেষ্ঠ জায়গা। সেখানে উৎপাদিত মসলিনকে ঢাকাই মসলিন নামে ডাকা হত। তথ্য বলছে ১৮১৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত লন্ডনে দারুণ বিক্রি হত ঢাকাই মসলিন। তাঁতিদের লাভও থাকত প্রচুর। কিন্তু যন্ত্রচালিত তাঁতের কাপড় এনে আর বাংলার মসলিনের উপর বিপুল কর বসিয়ে এ শিল্পকে শেষ করে দেয় ইংরেজরা। ১৮৫১ সালে লন্ডনে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে রাখা ঢাকার হাবিপুল্লাই তাঁতির তৈরি দশ গজ লম্বা এক খণ্ড মসলিনের ওজন ছিল মাত্র তিন আউন্স। এটি একটি আংটির ভেতর দিয়ে গলে যেতে পারত। এই তথ্য দিচ্ছে সেই সময়ের ইংল্যান্ডের ‘মর্নিং ক্রনিক্যাল’ পত্রিকা।
তথ্যসংগ্রহ – ‘পশ্চিমবঙ্গ’
বিশেষ সংখ্যা,অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০১৫
না ব্রেকিং, না মেকিং, না ফেকিং। বিচিত্র এই পৃথিবীর বিপুল জ্ঞান সমুদ্র থেকে কণা সম তুলে পরিবেশনের চেষ্টাই এই ব্লগ সাইট। সচেতন ভাবে কোনও উদ্দেশ্যমুলক ভুল তথ্য বা কুসংস্কার প্রচার করবে না এই পেজ। প্রায় সব তথ্যেরই মিলবে উৎসের খোঁজ। আমরা বিশ্বাস করি জ্ঞানের কোনও কপিরাইট হয় না। তবুও তথ্যের ব্যবহার নিয়ে কোনও লেখক বা প্রকাশকের কোনও আপত্তি থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়ে নেওয়া হবে এই পেজ থেকে। সাইটে ছবিগুলির বেশিরভাগই নেওয়া হয়েছে উইকিপিডিয়া,ফ্রি সাইটস বা গুগল সার্চ থেকে।
0 মন্তব্যসমূহ