ফি বছর পৃথিবীতে ৩০০ মিলিয়ন টন প্লাসটিক উৎপন্ন হয়।১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পৃথিবীতে উৎপন্ন হয়েছে ৮.৩ বিলিয়ন টন প্লাসটিক।
৮.৩ বিলিয়ন টনের মধ্যে ৬.৩ বিলিয়ন টনই পরিণত হয়েছে বর্জ্যে। এবং মাত্র ৯ শতাংশ প্লাসটিক পুর্ব্যবহারযোগ্য করা সম্ভব হয়েছে।
হিসেব বলছে ২০৫০ সালের মধ্যে গোটা মানবজাতি উৎপাদন করবে ৩৪ বিলিয়ন টন প্লাসটিক।
শুধুমাত্র ২০১৬ সালেই পৃথিবীজুড়ে বিক্রি হয়েছে ৪৮০ বিলিয়ন প্লাসটিক বোতল। অর্থাৎ হিসেবটা হল পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের ভাগে পড়ছে ৬০টি করে বোতল।
মাত্র ৬.৬ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাসটিক ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে নতুন বোতল।
প্রতি বছর পৃথিবীজুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে এক ট্রিলিয়ন পরিমাণ প্লাসটিক ব্যাগ।এর মধ্যে মাত্র ১২% নষ্ট করে ফেলা হয়। বাকিটা মিশে যায় প্রকৃতির মাঝে।
প্রতি বছর সমুদ্রে গিয়ে পড়ে ১৩ মিলিয়ন টন প্লাসটিক। হিসেব করলে যার পরিমাণ হবে ৮৫০০০টি নীল তিমির ওজনের সমান।
মনে করা হচ্ছে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই ফি বছর সমুদ্রে মিশবে এর দ্বিগুণ পরিমাণ প্লাসটিক।
মাটিতে প্লাসটিক বোতল মিশে যেতে সময় লাগে কমপক্ষে ৪৫০ বছর। সমুদ্রে এই মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
প্লাসটিক বোতল ভেঙে গিয়ে মাইক্রোপ্লাসটিকে পরিণত হয় (যার আয়তন ৫ মিলিমিটার)।১৮০টি সামুদ্রিক প্রজাতি বাধ্য হচ্ছে এই সব প্লাসটিক খেতে।
এই মুহূর্তে পৃথিবীর সমুদ্রে জমা হয়ে রয়েছে ৫১ ট্রিলিয়ন মাইক্রো প্লাসটিক – যে সংখ্যাটা হল আমাদের নিজস্ব ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি ‘মিল্কিওয়ে’তে যত তারা আছে তার ৫০০ গুণ।
তথ্যসংগ্রহ - বিবিসি
নলেজ(ম্যাগাজিন),ফেব্রুয়ারি ২০১৮
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'খোশখবর'