খোশখবর ডেস্কঃ বাংলাদেশের ‘গ্রামীণ ব্যাঙ্ক’ তৈরির ইতিহাসকে রূপকথা বললেও বোধহয় কম বলা হয়। এই ব্যাঙ্কের রূপকার মুহাম্মদ ইউনুস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ছিলেন। ১৯৭৬ সালে দুর্ভিক্ষ পীড়িত বাংলাদেশের জোবরা গ্রামে গিয়ে তিনি চমকে যান। এই গ্রামটি ছিল তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই। দেখেন অতি সামান্য টাকার জন্য কীভাবে মহাজনের খপ্পড়ে পড়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। মহাজনের সুদ মিটিয়ে সুফিয়া বেগম নামে এক মহিলার আয় হচ্ছে দৈনিক পঞ্চাশ পয়সা। মহাজনী কারবার ভেঙে দিতে তিনি ওই গ্রামের ৪২ জনকে ব্যক্তিগত ভাবে ঋণ দিলেন ৮৫৬ টাকা। এখান থেকেই শুরু। এবার তিনি গ্রামের গরীব মানুষদের ঋণ দেওয়ার জন্য সরকারী ‘জনতা ব্যাঙ্কে’র কাছে দরবার করলেন। কিন্তু গরীবদের ঋণ দিতে রাজিই হল না ব্যাঙ্ক। তখন ইউনুস নিজেই ১০,০০০ টাকা ঋণের জামিনদার হলেন।
এভাবেই তিনি গ্রামের মহিলাদেরপরীক্ষামূলক ভাবে একজোট করে বা আলাদা ভাবে ছোট ছোট উৎপাদন ঋণ দিতে লাগলেন। ফলও মিলল চমৎকার। প্রকল্প হিসেবে চলল গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। ১৯৮৩ সালের ২ অক্টোবর জন্ম হল ‘গ্রামীণ ব্যাঙ্কে’র। ক্রমেই কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলাদেশে। ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে এর মডেল। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত হন মুহাম্মদ ইউনুস।
তথ্যসংগ্রহ – গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ও আমার
জীবন, মুহাম্মদ ইউনুস, আনন্দ পাবলিসার্স
0 মন্তব্যসমূহ